Saturday, January 24, 2009

সিলেটে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বাড়ছে ।। জনমনে শংকা


ফখরুল ইসলাম | সিলেট অফিস

বিভাগীয় নগরী সিলেটে সন্ত্রাস, রাহাজানি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, জমি দখল, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত দুর্বৃত্তরা আবার ফিরে আসছে। রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসায় দুর্র্বৃত্তরা রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা করছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ মুহূর্ত থেকে শুরু করে গত প্রায় দুই সপ্তাহে সিলেটে একাধিক ছিনতাই ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। একজন সাংবাদিককে অপহরণ করে নির্যাতন করেছে ছাত্রদল ক্যাডাররা। সিলেট নগরীতে নিয়ে আসার পথে কোটি টাকার হেরোইনের চালান ধরা পড়েছে। এসব ঘটনায় জনমনে পুরনো শংকা জাগতে শুরু করেছে। কারণ ওয়ান ইলেভেনের আগে তিনটি রাজনৈতিক সরকারের আমলেই সিলেটবাসী সন্ত্রাসীদের দাপট দেখেছেন। রাজপথে অস্ত্রের মহড়া হয়েছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনেক তরুণের লাশ পড়েছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, জমি দখল, মাদক ব্যবসা সবই হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে সন্ত্রাসীরা নির্বিঘেœ অপকর্ম করেছে। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত প্রায় দুই বছর এসকল দুর্বৃত্ত অনেকটা গা-ঢাকা দিয়েছিল। এখন সিলেটবাসী চান পুরনো আতংকের দিন যেনো আর ফিরে না আসে। এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) ডেপুটি কমিশনার ইসরাইল হাওলাদার গতকাল রবিবার ইত্তেফাককে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি গত দুই বছর যেরকম ছিল, এখনো সেরকমই থাকবে। অপরাধীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠার ন্যূনতম কোন সুযোগ পাবে না। কঠোর হস্তে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হবে। দুর্বৃত্তরা সক্রিয় হচ্ছে- একথার সাথে দ্বিমত পোষণ করে তিনি বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে যে দুই-একটি ঘটনা ঘটছে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে।

সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচনের পর সিলেট জেলার মধ্যে সিলেট-২ নির্বাচনী এলাকার বালাগঞ্জ ও বিশ্বনাথে নির্বাচনোত্তর কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে গত শুক্রবার রাতে সিলেট নগরীর চালিবন্দর এলাকায় দৈনিক যুগান্তরের রিপোর্টার ও ইটিভির সিলেট প্রতিনিধি সংগ্রাম সিংহকে অপরহণ করে পিটিয়ে আহত করেছে ছাত্রদল ক্যাডাররা। তারা সংগ্রাম সিংহের কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেয়। এব্যাপারে বাবুল, ফাহমি, মাছুম ও শরিফসহ আরো অজ্ঞাত ৪-৫ জন দুর্বৃত্তকে আসামী করে সংগ্রাম সিংহ কতোয়ালি থানায় মামলা করলেও গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। এ কারণে সিলেটের সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ-অসন্তোষ বিরাজ করছে। হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে গতকাল দুপুরে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন সাংবাদিকরা। এছাড়া আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে সকালে সিলেট প্রেসকাবে জরুরি সভা হয়েছে। গত বুধবার রাতে নগরীর আম্বরখানায় ব্যবসায়ি কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি মাসুক মিয়াকে সন্ত্রাসীরা দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। একইদিন দুপুরে নগরীর সুবিদবাজারে কাজিরবাজার মাদ্রাসার শিক্ষক এমদাদুল আমিন চৌধুরীর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার নগরীর দর্শন দেউড়ীর নিজ বাসা থেকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বৃদ্ধ গিয়াস উদ্দিন (৬০) অপহৃত হন। অপহরণের প্রায় ১২ ঘন্টার মাথায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করে। নগরীর অভিজাত আবাসিক এলাকা শাহজালাল উপশহরে গত দুই সপ্তাহে ৫টি ছিনতাইর ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তরা এক স্কুল ছাত্রীর গলার স্বর্নের চেইন, এক লন্ডন প্রবাসীর ২০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন সেট, আব্দুল মান্নান ও আব্দুল লতিফ নামের আরো দুইজনের দুইটি মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নেয়। উপশহর এলাকার কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম এসব ছিনতাইর ঘটনার কথা স্বীকার করে এব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে করে প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের এক কেজি হেরোইন দিনাজপুর থেকে সিলেট নগরীতে নিয়ে আসার পথে বিডিআরের হাতে ধরা পড়েছে। দক্ষিণ সুরমা এলাকায় বাসে তল্লাশি চালিয়ে বিডিআর এই হেরোইনের চালান আটক করে। তবে হেরোইন সিলেটে নিয়ে আসার সাথে জড়িত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

ATTACK ON JOURNALIST: Arrest of criminals demanded


ATTACK ON JOURNALIST: Arrest of criminals demanded
The New Age | Jan 12, 2009

Staff Correspondent . Sylhet
Local journalists on Sunday demanded immediate arrest of the criminals responsible for the attack on Sangram Singh, senior staff reporter of the Sylhet bureau of national Bangla daily Jugantor.

They also demanded removal of the Sylhet metropolitan police commissioner and officer-in-charge of the Kotwali police station for their failure to arrest the criminals.
The journalists brought out a procession from Sylhet Press Club at about 1:00pm protesting at the attack on the journalist and demanding arrest of the attackers.
They paraded main roads in the city and later held a rally on the Central Shaheed Minar premises in the city.

At the rally, the newsmen, working with different national dailies and news agencies, demanded immediate withdrawal of SMP commissioner Syed Taufiq Uddin and officer-in-charge of the Kotwali police station Syeduzzaman.

Chaired by former general secretary of Sylhet Press Club, Mahiuddin Shiru, also divisional correspondent of News Today, the rally was addressed, among others, by Salam Masrur of Janakantha, AFM Sayeed of Banglabazar Patrika, Mohammed Mohsin of United News of Bangladesh, Moniruzzaman Monir of New Age, Rezwan Ahmed of Jugantor, Fakhrul Islam of Ittefaq, Abdul Mukith of Inqilab, Faysal Ahmed Bablu and Mukith Rahmani of Shomokal.
Speakers at the rally also accused the SMP commissioner and OC of negligence in nabbing the activists of Jatiyatabadi Chhatra Dal, who reportedly attacked Sangram Singh, also Sylhet correspondent of ETV, saying that the attackers were roaming in the city.

The Sylhet Press Club authorities at an emergency meeting on Sunday also blamed the police administration for not to arrest the criminals.

Some JCD activists allegedly attacked Sangram Singh Friday night at Chalibandar in the city, leaving him seriously injured. A case was filed with the Kotwali police station in this connection accusing four JCD activists.

সিলেটে সাংবাদিক নির্যাতনকারী বিউবোর কোটিপতি বাবলু



সিলেট ব্যুরো | দৈনিক যুগান্তর
দৈনিক যুগান্তর সিলেট ব্যুরোর সিনিয়র রিপোর্টার ও একুশে টিভি’র সিলেট প্রতিনিধি সংগ্রাম সিংহকে অপহরণ করে নির্যাতনকারী বাবলু স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে একজন সহকারী লাইনম্যান। দীর্ঘদিন ধরে মতার অপব্যবহার আর অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে বাবলু এখন কোটিপতি। তার নেতৃত্বে নগরীর চালিবন্দর এলাকায় গড়ে উঠেছে একটি অপরাধী চক্র। যারা এলাকায় মাদক ব্যবসা ও নগরীর বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইয়ে নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। তাদের মতার দাপটে এলাকার নিরীহ লোকজন প্রতিবাদ করার সাহস পান না। গত শুক্রবার বাবলু ও তার সহযোগী ফাহমি, মাছুম, নাসিম ও শরীফসহ ৫/৬ জন দুর্বৃত্ত সংগ্রাম সিংহকে অপহরণ করে নিয়ে নির্যাতন করে। এ ঘটনার ৫ দিন পরেও তাদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বাবলুর লোকজনের ভয়ে বাসায় ফিরতে পারছে না সংগ্রাম সিংহ। ঘটনার পরদিন থেকে প্রতিদিন সংগ্রামের চালিবন্দরস্থ বাসায় গিয়ে বাবলুর লোকজন তাকে খোঁজে থাকে। অভিযোগ উঠেছে, মোটা অংকের টাকায় বাবলু গ্রেফতার এড়াতে পুলিশকে ম্যানেজ করেছে। ফলে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করলেও পুলিশের চোখে সে পলাতক রয়েছে। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে সাংবাদিক নির্যাতনকারী কোটিপতি লাইনম্যান বাবলুর খুঁটির জোর কোথায়? অথচ বাবলু নিয়মিত সিলেট বিদ্যুৎ বিভাগ-২ এর অধীনে নিয়মিত কাজ করছে। প্রতিদিন খাতায় হাজিরা স্বার দিয়ে স্বাভাবিক করছে বলে বিউবো সূত্রে জানা গেছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট-২ এর তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী বাবলুর পুরো নাম সৈয়দ রেজাউর রহমান বাবলু। সে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার রামশ্রী সাহেববাড়ির মৃত জিয়াউর রহমানের পুত্র ও সিলেট নগরীর চালিবন্দরস্থ সমতা-১১ নম্বর বাসার বাসিন্দা। বিউবো সূত্র জানায়, বাবলু নিয়মিত অফিসে আসা-যাওয়া করছে এবং খাতায় হাজিরা সার দিয়ে নিয়মিত টিউটি পালন করছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ব্যাপারে সে অফিসকে অবহিত করেনি। নগর বিএনপি’র প্রভাবশালী শ্রমিক নেতা আশফাক আহমদের শ্যালক বাবলু ১৯৮৮ সাল থেকে বিউবো-২ অফিসে লাইনম্যান সহকারী পদে চাকরিতে যোগ দেয়। গত চারদলীয় জোট সরকার আমলে বিএনপি নেতার স্বজন হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে সে। ৫ হাজার টাকা বেতনের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হয়ে বসবাস করছে বিলাসবহুল ভাড়াটে বাসায়। সিলেট-হবিগঞ্জ সড়কে চলমান কয়েকটি যাত্রীবাহী বাস-মিনিবাসের মালিক সে। সিলেট নগরীর চালিবন্দর, ছড়ারপার প্রভৃতি এলাকায় জেনারেটর দিয়ে বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ খাতে সে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে বলে এলাকা সূত্রে জানা গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, লাইনম্যান সহকারী বাবলু বিদ্যুতের লাইনে যান্ত্রিক ত্র“টি সৃষ্টি করে এলাকাবাসীকে ঘন্টার পর ঘন্টা অন্ধকারে রেখে জেনারেটর ব্যবসা জমজমাট করে তুলেছে। জেনারেটরের লাইন টানিয়েছে বিদ্যুৎ লাইনের সরকারি খুঁটির উপর দিয়ে। মাঝে মধ্যে এলাকার হেরোইন সেবীরা জেনারেটরের লাইন কেটে নিলে ওদেরকেও হাত করে নিয়েছে সে। তারই আশ্রয়ে চালিবন্দর শ্মাশানঘাট এলাকায় গড়ে উঠেছে শক্তিশালী মাদক হাট। বিগত জোট সরকারের আমলে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সিলেটের শাহী ঈদগাহ থেকে সুরমা নদী পার ও পূর্ব জিন্দাবাজার থেকে বটেশ্বর সেনানিবাস পর্যন্ত বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে বহুতল বিশিষ্ট বাণিজ্যিক ভবন। এসব ভবনে লাখ লাখ টাকার বিদ্যুৎ ব্যয় হলেও প্রকৃত বিল পায়নি বিদ্যুৎ অফিস। এলাকার আবাসন ও ভূমি ব্যবসায়ীসহ বহুতল ভবনের মালিকগণ বাবলুকে ম্যানেজ করে ফিক্সড বিলের মধ্যে নামকাওয়াস্তে বিল পরিশোধ করেছেন। এেেত্র বাবলু কামাই করেছে লাখ লাখ টাকা। গত জোট সরকারের আমলে বাবলু মতার বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন ছিলেন অতিষ্ঠ। ফিক্সড বিলিং ব্যবস্থা চালু থাকার কথা স্বীকার করেছে বিউবো-২ এর একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র। তবে ওয়ান ইলেভেনের পর থেকে এ ব্যবস্থা উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
দৈনিক যুগান্তরের সিলেট ব্যুরো রিপোর্টার ও একুশে টিভি’র সিলেট প্রতিনিধি সংগ্রাম সিংহকে অপহরণ করে নেয় বাবলুর নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত। অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিবের চালিবন্দরস্থ সমতা ৪১/১ বাসায় আটকে রেখে মারধর করে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করতে গেলে অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব তাদেরকে নানা হুমকি-ধমকি দেন এবং ভুয়া সাংবাদিক আখ্যায়িত করে সংগ্রাম সিংহকে পুলিশে দেয়ার চেষ্টা করেন। পরে সাংবাদিকদের চাপের মুখে সংগ্রাম সিংহকে ছেঁড়ে দিতে বাধ্য হন। এ ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহ। মামলা নম্বর-৩৭(১)০৯। মামলার তদন্তভার দেয়া হয় থানার এসআই মোহাম্মদ ইলিয়াসকে। গত সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ সোহেল ও সেলিমকে গ্রেফতার করলেও এজাহারভূক্ত কোন আসামিকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি। ফলে সিলেটের সাংবাদিকসহ সর্বমহলে বিরাজ করছে চরম ােভ। উলেখ মামলার এজাহারভূক্ত ২নং আসামি আহমেদ ওবায়দুর রহমান ফাহমি অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিবের পুত্র ও ঘটনার মূলহোতা বাবলু তাঁর ঘনিষ্ট আত্মীয়। ঘটনার পর থেকে অপহরক চক্রের মূলহোতা বাবলুসহ তার সহযোগী দুর্বৃত্তদের বাঁচাতে তৎপর হয়ে উঠেছে একটি মহল। স্থানীয় সাংবাদিক মহল অবিলম্বে বাবলু ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি তার বিশাল সম্পত্তির তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তারা দুদকের প্রতি আহ্বান জানান।

সিলেটে সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহ অপহরণ | ঘটনার মূলহোতা বাবলুসহ ক|উকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ

সিলেটে সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহ অপহরণ ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও ঘটনার মূলহোতা বাবলু ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের পাচ্ছেনা। দুর্বৃত্তদের ভয়ে সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহ পরবিার নিয়ে বাসায় ফিরতে পারছেনা। তারা প্রতিনিয়ত সংগ্রামের চালিবন্দরের বাসায় গিয়ে তাকে খোঁজছে। এদিকে এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি প্রভাবশালী মহল নানান তৎপরতা ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য দুইজনকে গ্রেফতার করলেও অপহরণ ও নির্যাতনের মূলহোতারা রয়েছে এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকায় সিলেটের সাংবাদিকসহ সকল মহলে ােভের সঞ্চার হয়েছে। সিলেট প্রেসকাবসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা প্রেসকাবের সাংবাদিকরা আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও স্থানীয় পুলিশ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন একই দাবিতে সোচ্চার রয়েছেন। সিলেট জেলা জাসদের সভাপতি আলহাজ্ব কলন্দর আলী ও সাধারণ সম্পাদক লোকমান আহমদ এক বিবৃতিতে অবিলম্বে সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহকে অপহরণ ও নির্যাতনকারী গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে মামলা দায়েরের পর পুলিশ সোমবার রাতে সোহেল ও সেলিম নামের দু’জনকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর থেকে অপহরক চক্রের মূলহোতা বাবলুসহ তার সহযোগী দুর্বৃত্তদের বাঁচাতে তৎপর হয়ে উঠেছে একটি মহল। তারা অপহরকদের গ্রেফতার না করে তড়িঘড়ি করে মামলার নিষ্পত্তি করতে পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। অপরদিকে, অপহরক চক্রের আশ্রয়দাতা বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি চারদলীয় জোট নেতা মাওলানা আব্দুর রকিব অ্যাডভোকেট সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পাল্টা আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছেন। গত ১১ জানুয়ারি স্বারিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ হুমকি প্রদান করেন। গত ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় এ ঘটনা ঘটে। দৈনিক যুগান্তরের সিলেট ব্যুরো রিপোর্টার ও একুশে টিভি’র সিলেট প্রতিনিধি সংগ্রাম সিংহকে অপহরণ করে নেয় বাবলুর নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত। অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিবের চালিবন্দরস্থ সমতা ৪১/১ বাসায় আটকে রেখে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এসময় অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিবও বাসায় উপস্থিত ছিলেন। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করতে গেলে অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব তাদেরকে নানা হুমকি-ধমকি দেন এবং ভুয়া সাংবাদিক আখ্যায়িত করে সংগ্রাম সিংহকে পুলিশে দেয়ার চেষ্টা করেন। পরে সাংবাদিকদের চাপের মুখে সংগ্রাম সিংহকে ছেঁড়ে দিতে বাধ্য হন। এ ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহ। মামলা নম্বর-৩৭(১)০৯। মামলার তদন্তভার দেয়া হয় থানার এসআই মোহাম্মদ ইলিয়াসকে। গত সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ সোহেল ও সেলিমকে গ্রেফতার করলেও এজাহারভূক্ত কোন আসামিকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি। ফলে সিলেটের সাংবাদিকসহ সর্বমহলে বিরাজ করছে চরম ােভ। উলেখ মামলার এজাহারভূক্ত ২নং আসামি আহমেদ ওবায়দুর রহমান ফাহমি অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিবের পুত্র ও ঘটনার মূলহোতা বাবলু তাঁর ঘনিষ্ট আত্মীয়।

সিলেটে সাংবাদিক অপহরণ ও নির্যাতনমামলা তুলে নিতে সংগ্রাম সিংহকে নানা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে, দুর্বৃত্তরা পরিবার নিয়ে বাসায় ফিরতে পারছেন না

দৈনিক যুগান্তর সিলেট ব্যুরোর সিনিয়র রিপোর্টার ও একুশে টিভি’র সিলেট প্রতিনিধি সংগ্রাম সিংহকে অপহরণ ও নির্যাতনকারীদের মূলহোতা বাবলু ও তার সহযোগী ফাহমি, শরীফ, নাসিম ও মাসুমকে ঘটনার ৭ দিন পরও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহ পরিবার নিয়ে বাসায় ফিরতে পারছেন না। তাকে হয়রানির করার জন্য বাবলু ও তার সহযোগীদের গডফাদাররা নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। মামলা তুলে নেয়ার জন্য তাকে নানা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। মামলা তুলে না নিলে তাকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্লিপ্তায় দুর্বৃত্তরা আরও বেপরোয়া হয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে বলে স্থানীয় সাংবাদিকরা ােভ প্রকাশ করেন।
এদিকে, সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সিলেট বিভাগ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন পালন করে। মানববন্ধন শেষে নগরীতে বের করা হয় বিােভ মিছিল। ফোরামের সভাপতি লিয়াকত আলী খানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি চক্রবর্তীর পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, তাজুল ইসলাম বাঙালী, হৃষিকেশ রায় শংকর, ডা. তখলিছ আলী, আব্দুল হালিম সাগর, সুনির্মল সেন, সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সাইফুর রহমান তালুকদার, সলিম আহমদ সলু, হারুনুর রশীদ, ইউসুফ আলী, এমএ রউফ, ইসলাম আলী, জুলহান হোসেন, হেলাল আহমদ, অরুন সরকার, আল ওয়াদুদ আবু। বক্তারা সমাবেশ থেকে সংগ্রাম সিংহকে অপহরণ ও নির্যাতনকারীদের ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দেন। নির্ধারত সময়ের মধ্যে দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এর মধ্যে আগামী ২৫ জানুয়ারি রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে একই দাবিতে প্রতীক অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।

Monday, January 12, 2009

যুগান্তর প্রতিনিধি সংগ্রাম সিংহের উপর হামলার নিন্দা । শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন


দৈনিক যুগান্তর সিলেট ব্যুরো অফিসের সিনিয়র রিপোর্টার সংগ্রাম সিংহের উপর কতিপয় ছাত্রদল নেতা-কর্মী কর্ত্তৃক বর্বোরচিত হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন কমলগঞ্জ প্রেসকাবের সভাপতি সুব্রত দেবরায় সঞ্জয়, সম্পাদক সাজিদুর রহমান সাজু, সাংবাদিক সমিতি শমশেরনগর ইউনিটের সভাপতি আব্দুল হান্নান চিনু, সম্পাদক মারুফ আহমেদ, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল মছব্বির, আব্দুল আহাদ মিনার, সুজন কমলগঞ্জ শাখার সম্পাদক প্রণয় দত্ত, বাংলাদেশ মণিপুরী কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি রাজীব কুমার সিংহ, সম্পাদক সুজন সিংহ, কলেজ শাখার সভাপতি মনিতা সিনহা, সম্পাদক শুভ সিংহ, কমলগঞ্জ উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি এম,এ ওয়াহিদ রুলু, মানবাধিকার কর্মী আহমদ সিরাজ, ডাঃ নুরুল ইসলাম, মডার্ণ ইলেকট্রনিক্স এর স্বত্বাধিকারী অলক দেব, কমলগঞ্জ উদিচী’র আহ্বায়ক সুমন দাশ, সাংবাদিক মুজিবুর রহমান রঞ্জু, আব্দুর রাজ্জাক রাজা, প্রণীত রঞ্জন দেব নাথ, এস,কে দাস, নুরুল মোহাইমিন মিল্টন, পিন্টু দেবনাথ, শাহীন আহমেদ, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, যুবলীগলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন, জুয়েল আহমদ, শাহীন আহমেদ ছাত্রলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন, শাহেদ আহমেদ, সমাজ কর্মী সফিকুর রহমান জহুর, খেলু আহমদ, কমলগঞ্জ যুগান্তর স্বজন সমাবেশ সভাপতি রিপন দেব, সম্পাদক কাজল ঘোষ প্রমুখ।

শাবিতে মানববন্ধন


দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার সংগ্রাম সিংহের উপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিার্থীরা। এর অংশ হিসেবে গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় ক্যাম্পাসে বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে শাবি প্রেসকাবের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে শতশত শিার্থী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করে। শিার্থীরা এসময় মুখে কালো কাপড় বেঁধে ‘আমরা হারতে জানি না, সংবাদপত্রে স্বাধীনতা চাই, সংগ্রাম সিংহের উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’ ইত্যাদি দাবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন বহন করে। মানববন্ধনে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক এসোসিয়েশনের সভাপতি হারুনুর রশীদ সুমন, নাট্য সংগঠন দিক থিয়েটারের কার্যকরী সদস্য পলাশ, মুজিব, অর্থ সম্পাদক তারেক, প্রচার সম্পাদক সাগর, থিয়েটার সাস্ট’র সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্চয় বর্মন, আজ মুক্ত মঞ্চ’র মনসুর আহমদ রনি, আসিফ, সঞ্জিব, রুমান, সামাজিক সংগঠন কিন’র সভাপতি দেবাশীষ লস্কর, সহ-প্রচার সম্পাদক তানভীর, রাফি, আতিক ও মাভৈ আবৃত্তি সংসদের সভাপতি মহিবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক রুমী, সাংস্কৃতিক সংগঠন শিকড়’র সাধারণ সম্পাদক জুয়েলসহ বিভিন্ন বিভাগের শিার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক যুগান্তরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নাঈমুল করীম নাঈম, দৈনিক সমকালের মীর সাখাওয়াত হোসেন সোহেল, দৈনিক যায়যায়দিনের নাজমুল আলম শিশির, আমার দেশ এর শিমুল এলাহী, দৈনিক ইত্তেফাকের তাহজীব হাসান, দৈনিক দিনকালের আজগর খান, দৈনিক বাংলাদেশ সময়ের রাজীব পাল, দৈনিক জনকণ্ঠের সায়েদ আব্দুল্লাহ যীশু, দৈনিক যুগভেরীর আয়াতুল্লাহ বাবু, দৈনিক জালালাবাদের এমইউ শিমুল, দৈনিক কাজিরবাজারের জাহিদ হোসেন।
এদিকে, যুগান্তর সিলেট ব্যুরো ষ্টাফ রির্পোটার সংগ্রাম সিংহকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার ঘটনায় ময়মনসিংহের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন ও ােভ প্রকাশ করে অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন। বিবৃতিদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ও যুগান্তর ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান আতাউল করিম খোকন, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও ময়মনসিংহ শাখার সাধারন সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, ময়মনসিংহ রির্পোটার্স ইউনিটির সভাপতি সুলতান উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহ এর উপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান পীর,আওয়ামীলীগ নেতা আয়ুব বখত জগলুল,জেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ন সস্পাদক অ্যাডভোকেট নান্টু রায়,জেলা ক্রীড়া সংস্তার সহ সস্পাদক পারভেজ আহমদ চৌধুরী,সুনামকন্ঠ সম্পাদক বিজন সেন রায়,জেলা কৃষকলীগ সভাপতি সুবীর তালুকদার বাপ্টু,সাধারন সম্পাদক করুনা সিন্দু চৌধুরী বাবুল, প্রেসকাব সাধারন সম্পাদক শেরগুল আহমদ, যুবলীগ নেতা অ্যাডভোকেট খায়রুল কবির রুমেন, সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের সাবেক জিএস মোজাম্মেল হক মুনিম, সাবেক ভিপি মনিষ কান্তি দে মিন্টু, সাংবাদিক শেজুল হোসেন

৩ দিনের মধ্যে সাংবাদিক নির্যাতনের আসামী গ্রেফতারে মেয়রের নিশ্চয়তায় ইমজার কর্মসূচী স্থগিত

একুশে টেলিভিশনের সিলেট প্রতিনিধি এবং যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার সংগ্রাম সিংহের উপর হামলাকারীদের আগামী ৩দিনের মধ্যে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহনে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের নিশ্চয়তার প্রেক্ষিতে ইমজা’র শনিবার রাতের গৃহীত কর্মসূচী স্থগিত করা হয়েছে।

গতকাল রোববার রাত ১২টায় এটিএন বাংলার সিলেট অফিসে ইমজা’র কর্মকর্তারা সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহকে অপহরণ, নির্যাতন, মালামাল লুটের মামলায় আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের রহস্যজনক ভুমিকার প্রতিবাদে এক বৈঠকে মিলিত হন। ইমজা’র কর্মসূচী সম্পর্কে অবগত হয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বৈঠকে উপস্থিত হয়ে সামগ্রীক বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। তিনি সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহের উপর ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন। ইমজার দাবির প্রেক্ষিতে তিনি আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার এর নিশ্চয়তা দেন। মেয়রের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ইমজা’র পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী স্থাগিত করা হয়। এই বৈঠকে ভোরের কাগজের সিনিয়র রিপোর্টার ইখতিয়ার উদ্দিন, ইমজার কর্মকর্তাদের মধ্যে সংগঠনের সভাপতি মঈনুল হক বুলবুল, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও চ্যানেল ওয়ানের রিপোর্টার মাহবুবুর রহমান রিপন, সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ বৈশাখী টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার শাহাব উদ্দিন শিহাব, সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও চ্যানেল আই এর সিলেট প্রতিনিধি আল-আজাদ, বাংলা টিভি ইউকে এর ব্যুরো প্রধান আব্দুল মালিক জাকা, এটিএন বাংলার স্টাফ রিপোর্টার শাহ মুজিবুর রহমান জকন, বাংলা ভিশনের প্রতিনিধি এমদাদ হোসেন চৌধুরী দিপু, দেশ টিভির বিভাগীয় প্রতিনিধি বাপ্পা ঘোষ চৌধুরী, ইনএনজি ক্যামেরাম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি এস সুটন সিংহ, সাধারণ সম্পাদক আনিস রহমান, এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান ইকবাল মুন্সি, দিগন্ত টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান হোসাইন শাহীদ, ইটিভির ক্যামেরাম্যান আশকার আমিন রাব্বী উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহকে অপহরণের মামলায় পুলিশের রহস্যজনক প্রতিবাদে মন্ত্রীদের খবর বয়কট করবে টেলিভিশন সাংবাদিকরা


সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহকে অপহরণ, নির্যাতন,মোবাইল ফোন এবং টাকা লুটের মামলায় আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের রহস্য জনক ভুমিকার প্রতিবাদে বর্তমান সরকারের মন্ত্রী পরিষদের কোন সদস্য আগামীতে সিলেটে আসলে একদিনের জন্য সে খবর বয়কট করবে সিলেটে কর্মরত সকল টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিকরা। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় এটিএন বাংলার সিলেট অফিসে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের নেতৃত্বে এক জরুরী সভায় সিলেটের টেলিভিশন সাংবাদিকরা এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সভায় গৃহীত অন্য সিদ্ধান্ত গুলোর মধ্যে সংগ্রাম সিংহকে অপহরণ করে নিয়ে নির্যাতন ও মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এর সাথে হামলাকারী ফাহমির পিতা মাওলানা আব্দুর রকিব এই হামলার ঘটনার পর তার ছেলে সহ অন্য আসামীরা মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানে বাসায় অবস্থানের কথা সাংবাদিকদের কাছে গর্ব করে বলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মঈনুল হক বুলবুল। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলা টিভি ইউকে এর ব্যুরো প্রধান আব্দুল মালিক জাকা,বিটিভির সিলেট প্রতিনিধি মো. ফয়জুর রহমান, এটিএন বাংলার স্টাফ রিপোর্টার শাহ মুজিবুর রহমান জকন, বাংলা ভিশনের প্রতিনিধি এমদাদ হোসেন চৌধুরী দিপু,দেশ টিভির প্রতিনিধি বাপ্পা ঘোষ চৌধুরী, চ্যানেল ওয়ানের রিপোর্টার মাহবুবুর রহমান রিপন, বৈশাখী টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার শাহাব উদ্দিন শিহাব,বিটিভির ক্যামেরাম্যান শ্রী দিগেন সিংহ, চ্যানেল ওয়ানে ক্যামেরাম্যান এস সুটন সিংহ,বৈশাখী টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান বদরুর রহমান বাবর, দিগন্ত টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান হোসেন শাহীদ, বাংলা টিভির ক্যামেরাম্যান আলমগীর। এছাড়া ইমজার গৃহীত সিদ্ধান্তে প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করেছেন ইএনজি ক্যামেরাম্যান এসোসিয়েশন সিলেট।

জাতীয় পত্রিকা ও সংবাদ সংস্থার সাংবাদিকদের জরুরী সভা। সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার ও ইটিভির সিলেট প্রতিনিধি সংগ্রাম সিংহের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং জাতীয় সংবাদ সংস্থা সমূহের সিলেটে কর্মরত সাংবাদিকদের এক সভা গতকাল শনিবার রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর জিন্দাবাজারের নেহার মাকেটস্থ দৈনিক ইনকিলাব সিলেট অফিসে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক নিউ নেশনের সিলেট প্রতিনিধি মো. বশির উদ্দিন। সভায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করায় পুলিশ প্রশাসনের প্রতি ােভ প্রকাশ করা হয়।সভায় বক্তারা বলেন, সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহের উপর হামলার দুইদিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। পুলিশের এ আচরণ দুঃখজনক। সভায় অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসী ও তাদের মদদদাতাদের গ্রেপ্তার করার জোর দাবি জানানো হয়। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আজ রোববার সকালে সিলেট প্রেসকাবের পূর্ব নির্ধারিত জরুরি সভা শেষে প্রেসকাব চত্বর থেকে একটি বিােভ মিছিল বের করার সিদ্ধান্ত হয়। মিছিল শেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন, দি নিউজ টুডের মহিউদ্দিন শীরু, জনকন্ঠের সালাম মশরুর, দিনকালের হারিস মোহাম্মদ, বাংলাবাজারের আ ফ ম সাঈদ, নিউ এইজের মনিরুজ্জামান মনির, ইউএনবির মোহাম্মদ মহসিন, যুগান্তরের রেজওয়ান আহমদ, ইনকিলাবের আবদুল মুকিত, ইত্তেফাকের ফখরুল ইসলাম ও মঈন উদ্দিন, সমকালের চয়ন চৌধুরী, ফয়সল আহমদ বাবলু ও মুকিত রহমানী, যায়যায়দিনের সিরাজুল ইসলাম, নয়াদিগন্তের আফতাব উদ্দিন, দেশবাংলার শরীফ আহমদ, দৈনিক সংগ্রামের কবির আহমদ, যুগভেরীর অপূর্ব শর্ম্মা, দৈনিক জনতার কামাল উদ্দিন আহমদ, ভোরের কাগজের বিনায়ক শুভ, দৈনিক বাংলাদেশ সময়ের নেহার রঞ্জন পুরকায়স্থ, প্রথম আলোর সুমনকুমার দাশ, দৈনিক খবরের খলিলুর রহমান, নিউজ টুডের ফারুক আহমদ, ফোকাস বাংলার শেখ নাসির ও শাহ দিদার আলম নবেল, আমার দেশের ইকবাল মাহমুদ, দি এডিটরের দিপু সিদ্দিকী, সবুজ সিলেটের মনোয়ার জাহান চৌধুরী, দৈনিক ডেসটিনির আনন্দ সরকার, দৈনিক শক্তির সুধেন্দু দেব রায় বাবুল প্রমুখ।সভায় উপস্থিত সাংবাদিকদের মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় পত্রিকা এবং সংবাদ সংস্থায় কর্মরত সাংবাদিকদের একটি ফোরাম গঠনের ল্েয দৈনিক ইনকিলাবের অফিস প্রধান আবদুল মুকিতকে সমন্বয়ক করে একটি কমিটি করা হয়।

সংগ্রাম সিংহের উপর হামলার প্রতিবাদে সোচ্চার সাহিত্য, সংস্কৃতি কর্মীরা



সিলেটে সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহকে অপহরণ করে বর্বর হামলায় জড়িত দু®কৃতকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে সর্বস্তরের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজ কর্মীরা। গতকাল রোববার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যুগান্তর স্বজন সমাবেশের উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এ উপলে শিা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা উপস্থিত হয়ে দু®কৃতিকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হন। যুগান্তর স্বজন সমাবেশের বিভিন্ন শাখার স্বজনদের সাথে সিলেটের সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর একাত্মতা পরিণত হয় এক স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদী সমাবেশে। মানববন্ধন শেষে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, সংগ্রাম সিংহের উপর হামলা মানে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মুক্ত চিন্তার উপর হামলা। তারা ঘটনার দুইদিন পরও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করায় পুলিশ ও প্রশাসনের উপর ােভ প্রকাশ করেন। বক্তারা অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে সিলেটের নবনির্বাচিত মন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপরে হস্তপে কামনা করেন। ছড়াকার রণক আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সংস্কৃতি কর্মী দেবব্রত চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় সমাবেশের শুরুতে সংগ্রাম সিংহের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশ ও প্রশাসনের খামখেয়ালীপনার অভিযোগ এনে অবিলম্বে এদের গ্রেফতারের দাবি জানান উদ্যোক্তাদের পে স্বজন সমাবেশের বিভাগীয় সমন্বয়ক প্রভাষক প্রণবকান্তি দেব। এছাড়া বক্তব্য রাখেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার আরশ আলী, রাজনীতিবিদ লোকমান আহমদ, আবৃত্তিকার মোকাদ্দেস বাবুল, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, সংস্কৃতি কর্মী মিশফাক আহমদ মিশু, ও রজত কান্তি গুপ্ত। এছাড়া মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে দু®কৃতিকারীদের গ্রেফতারের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন কাউন্সিলর দিনার খান হাসু, কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, সাংবাদিক শফিকুর রহমান চৌধুরী, একুশে বাংলার নির্বাহী পরিচালক বশির আহমদ জুয়েল, জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাসমীর রেজা, যুগান্তর স্বজন সমাবেশের জেলা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, স্বজন সাহেদ নাসের খান জনি, এমসি কলেজ স্বজনের সভাপতি মাহফুজুর রহমান, সিলেট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের আহ্বায়ক এমএম শামীম আহসান, মোঃ সেলিম রেজা, স্বজন মিফতা আহমদ রিটন, সাগর আহমদ সৈকত, সিলেট সিটি সামাজিক সংস্থার সভাপতি মেহেদী কাবুল, বাউল কল্যাণ সমিতি সিলেট বিভাগের আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন রাসেল, বাংলাদেশ মণিপুরী সমাজকল্যাণ সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী পদ্মাসেন সিনহা, সাধারণ সম্পাদক সমরজিৎ সিংহ, মণিপুরী যুবকল্যাণ সমিতির সভাপতি মনি লাল সিংহ, সাধারণ সম্পাদক রনজিত সিংহ, মণিপুরী বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ফোরামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্মল কুমার সিংহ, রনজিত কুমার সিংহ, রমেন্দ্র সিংহ, সমাজকর্মী রাসেল আহমদ উস্তার, সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য মকবুল হোসেন, জাতীয় ছাত্র সমাজ মহানগর শাখার আহ্বায়ক মোঃ জুমান আহমদ, প্রথম আলোর সিলেট প্রতিনিধি সুমন কুমার দাস, কবি ও সাংবাদিক আহমেদ সেলিম, দেবাশীষ দেবু, বিধু ভূষন দাস, বাউল কালা মিয়া, বাউল আব্দুল খালিক, মহানগর মানবাধিকার ব্যুরো’র আশরাফ উদ্দিন, মল্লিকা আদর্শ সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি জিএম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমদ, স্বজন তারেক হাসান।
ছাতক প্রতিনিধি জানায়, ছাতক প্রেসকাবের সভাপতি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম, সহ-সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ, সহ-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রনি, সাবেক সভাপতি একরাম উদ্দিন আহমদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক চান মিয়া, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম হিরন, প্রচার সম্পাদক রাজ উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক বিজয় দত্ত, নির্বাহী সদস্য এস এম ওমর ফারুক, সদস্য বিজয় রায়, রেজাউল করিম রেজা, শাহ আখতারুজ্জামান, নুর মিয়া রাজু, সাংবাদিক কৃপেশ চন্দ, বাবলু, তপন জ্যোতি তপু, জুনেদ আহমদ, আব্দুর সত্তার, আতিকুর রহমান, জুয়েল মাহমুদ, এক বিবৃতিতে সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
মাধবপুর প্রতিনিধি জানায়, মাধবপুর প্রেসকাবের সভাপতি শংকর পাল সুমন, সাধারন সম্পাদক কাউসার মোলা, সাবেক সভাপতি রোকন উদ্দিন লস্কর, সাবেক সাধারন সম্পাদক আলাউদ্দিন আল রনি, সহসভাপতি কাজী আরিফুল আম্বিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন সবুজ, জামাল মোঃ আবু নাসের, সহ সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ, সানাউল হক চৌধুরী শামীম, সাংবাদিক আইয়ুব খান, রাজিব দেব রায় রাজু, অলিদ মিয়া, মাধবপুর পৌরসভার মেয়র শাহ্ মোঃ মুসলিম, আওয়ামী লীগ সেক্রেটারী সুকুমল রায়, ছাত্রলীগ সোনাই নদী রাবার ড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি আক্তার হোসেন মনির, মাওলানা ভাসানী সংসদের সভাপতি তুফাজ্জল হোসেন খোকা মিয়া, এনজিও (বাসা)র ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুখলেছুর রহমান সেলিম, বিআরডিভির চেয়ারম্যান মুজাহেদ বিন ইসলাম, মাধবপুর জিপি সিআইসির এমডি প্রদীপ দেবনাথ, যুবলীগ সভাপতি কামাল খাঁন। আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল আহাদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহব্বায়ক আলমগীর হোসেন টিপু।
তাহিরপুর প্রতিনিধি জানায়, তাহিরপুর প্রেসকাব সভাপতি রমেন্দ্র নারায়ন বৈশাখ, সহসভাপতি গোলাম সরোয়ার লিটন, আলম ছাব্বির, সাধারন সম্পাদক হাবিব সরোয়ার আজা, সদস্য মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া, সাজ্জাদ হোসেন শাহ, রাজু আহমেদ রমজান, এম এ রাজ্জাক, আমিনুল ইসলাম, বাবরুল হাসান বাবলু, কামাল হোসেন, গোলাম শহিদ।
তাহিরপুর পরিবেশ ও মানবাধিকার উন্নয়ন সোসাইটির সহ-সভাপতি ডা. আব্দুস ছালাম, যুগ্ন সম্পাদক মেরিনা দিব্রা, যুগান্তর স্বজন সমাবেশের সভাপতি সঞ্জিব রঞ্জন তালুকদার টিটু, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সোহেল, ছাত্র ঐক্য পরিষদেও সাধারণ সম্পাদক কাজি আবু সুফিয়ান,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস ছোবান আখঞ্জি, সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন খাঁ, উওরাঞ্চলীয় প্রাথমিক শিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক, মন্টু ভূষণ সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন আখঞ্জি শামীম, আতাউর রহমান, হারুনুর রশীদ হারুন, রাখাব উদ্দিন প্রমুখ।
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি জানায় দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার ও ইটিভির সিলেট প্রতিনিধি সংগ্রাম সিংহের উপর ছাত্রদল ক্যাডারদের হামলার প্রতিবাদে জগন্নাথপুর প্রেসকাবে গতকাল বিকেলে এক প্রতিবাদ সভা কাব সভাপতি শংকর রায়ের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক সানোয়ার হাসান সুনুর পরিচালনায় অনুষ্টিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন প্রেসকাবের সহ সভাপতি তাজ উদ্দিন আহমদ,যুগ্ন সম্পাদক অমিত দেব,সদস্য আলী আহমদ, জামাল উদ্দিন বেলাল, গোবিন্দ দেব, আব্দুল কাইয়ূম, অরুপ সরকার, নিজামুল হক প্রমূখ। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।

২৪ ঘন্টা অতিবাহিত: সিলেটে সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহকে অপহরণকারীরা গ্রেফতার হয়নি। শহীদ মিনারে মানববন্ধন।

সিলেটের সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহকে অপহরণের ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও অপহরণকারীরা গ্রেফতার হয়নি। গ্রেফতার এড়াতে তারা বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ ঘটনার পর থেকেই ওই তাদের ধরতে সিলেট নগরীর চালিবন্দর, ছড়ার পার এলাকায় লোকদেখানো অভিযান পরিচালনা করে। অথচ সন্ত্রাসীরা এখনও এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে। শুক্রবার রাতে অপহরণের পরপর স্থানীয় প্রেসকাব নেতৃবৃন্দ এক জরুরী সভায় বসে দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার করার জন্য ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন স্থানীয় প্রশাসনকে। তারপরও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তাদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ ঘটনায় সিলেটের সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অবিলম্বে দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার করার দাবিতে আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যুগান্তর স্বজন সমাবেশ সিলেটের উদ্যোগে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। এতে সিলেটের সকল সাহিত্য সংস্কৃতি এবং সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার ও ইটিভির সিলেট প্রতিনিধি সংগ্রাম সিংহ নগরীর চালিবন্দরের বাসা থেকে যুগান্তর অফিসে যাওয়ার পথে শুক্রবার সন্ধ্যায় অপহৃত হন। সিলেট সরকারী তিব্বিয়া কলেজের সামনে থেকে ছাত্রদল ক্যাডাররা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুর রকিবের বাসায় আটকে রেখে তার উপস্থিতিতে সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহের উপর চালায় শারীরিক নির্যাতন। কেড়ে নেয় সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনসহ টাকা। অস্ত্রের মুখে স্বার আদায় করে সাদা কাগজে। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অপহরণকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় সংগ্রাম সিংহকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। গতকাল দুপুরে সংগ্রাম সিংহ বাসায় ফিরেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও র‌্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

দৈনিক যুগান্তর ও একুশে টেলিভিশনের সিলেট প্রতিনিধিসংগ্রাম সিংহকে অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সিলেট-২ আসন থেকে নবনির্বাচিত সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ আসন থেকে নবনির্বাচিত সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ কয়েস চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-১ আসন থেকে নবনির্বাচিত সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। তারা অবিলম্বে দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

সিলেট প্রেসকাবের সদস্য ও দৈনিক যুগান্তর এর সিলেট ব্যুরোর সিনিয়র রিপোর্টার সংগ্রাম সিংহের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সিলেটের সাংবাদিকরা। শুক্রবার রাতে প্রেসকাবে এক জরুরি সভায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করার দাবিও জানানো হয়েছে। একই সাথে আজ রোববার সকাল ১১টায় প্রেসকাবে জরুরি সভা আহ্বান করা হয়। শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কাবের সিনিয়র সহসভাপতি আল-আজাদ। সভায় বক্তারা সংগ্রাম সিংহের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানান। তারা বলেন, এ ধরণের হামলা স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর নগ্ন হস্তপে। বক্তারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। প্রেসকাবের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নূর’র পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজ আহমদ সেলিম, সালাম মশরুর, এনামুল হক জুবের, হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, খালেদ আহমদ, দেওয়ান তৌফিক মজিদ লায়েক, আব্দুল মালিক জাকা, আফতাব উদ্দিন, সৈয়দ সুজাত আলী, এমদাদ হোসেন চৌধুরী দীপু, ফয়সল আহমদ বাবলু, সিএম মারুফ, বাপ্পা ঘোষ চৌধুরী, শেখ আশরাফুল আলম নাসির, ইকবাল মাহমুদ, কবীর আহমদ, ফারুক আহমদ।

দৈনিক যুগান্তর ও একুশে টেলিভিশনের সিলেট প্রতিনিধিসংগ্রাম সিংহকে অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দৈনিক শ্যামল সিলেট পরিবার। এক বিবৃতিতে দৈনিক শ্যামল সিলেট’র সম্পাদক চৌধুরী মুমতাজ আহমদ সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহকে অপহরণ ও নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহকে অপহরণের চেষ্টা ও মারধর করার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (ইমজা)’র সভাপতি মঈনুল হক বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান রিপন, বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি সিরেট শাখার সভাপতি বদরুদ্দোজা বদর ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু। এছাড়াও এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন, যুগান্তর স্বজন সমাবেশ সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী প্রণবকান্তি দেব, সিলেট জেলা শাখার সভাপতি খন্দকার আব্দুল মজিদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমসহ এমসি কলেজ, শাবিপ্রবি, মদনমোহন কলেজ স্বজনের নেতৃবৃন্দ। একুশে দর্শক ফোরামের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মঈন উদ্দিন জালাল, সদস্য সচিব বশির আহমদ জুয়েল, প্রান্তিক পর্ষদের সভাপতি উজ্জল রায়, সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দেবু, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসকাবের সাধারণ সম্পাদক নাঈমুল করীম নাঈম, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক এসোসিয়েশনের সভাপতি হারুনুর রশীদ সুমন, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল কৌনাইন, নাট্য সংগঠন দিক থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল পাভেল, মাভৈ আবৃত্তি সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্য সানিয়া নাসরীন সানজিদা, সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি জুন্নুন মাহমুদ খান, উর্বশী আবৃত্তি পরিষদ’র সভাপতি মোকাদ্দেস বাবুল, সাধারণ সম্পাদক জিলুর রাহমান জয়, সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রণবকান্তি দেব, শব্দগাঁথা ছড়া সংগঠনের সভাপতি রানা কুমার সিংহ, দিরাই প্রেসকাবের সভাপতি শামসুল ইসলাম সর্দার, কার্যনির্বাহী সদস্য জিয়াউর রহমান লিটন, শেখ কবির আহমেদ, আব্দুল বাছির, আবু হানিফ চৌধুরী ও শামসুল আলম, কানাইঘাট প্রেসকাবের সভাপতি এমএ হান্নান, সহসভাপতি বাবুল আহমদ, আব্দুর রব, দেলওয়ার হোসেন সেলিম, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইইউএমকে আম্বিয়া চৌধুরী, কোষাধ্য এখলাছুর রহমান, দপ্তর ও পাঠাগার সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক একেএম ফজলুর রব সুয়েব, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ জামাল উদ্দিন, সমাজসেবা সম্পাদক মোঃ মিসবাহ হুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য শাহজাহান সেলিম বুলবুল, মইনুল হক বুলবুল, একেএম নূর মোহাম্মদ জামান, মোঃ মাহবুবুর রশীদ, আলী আকবর চৌধুরী কোহিনূর। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সিলেট জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মহানগর শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা খলিলুর রহমান, জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল আজিজ, মহানগর সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব অধ্য মাওলানা জাহিদ উদ্দিন চৌধুরী এক যুক্ত বিবৃতিতে দৈনিক যুগান্তরের সিলেট ব্যুরোর সিনিয়র রিপোর্টার সংগ্রাম সিংহের উপর সন্ত্রাসীদের হামলার তীব্র নিন্দা জানান। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। এদিকে, দৈনিক যুগান্তর সিলেট ব্যুরো’র সিনিয়র রিপোর্টার ও ইটিভি’র সিলেট প্রতিনিধি সংগ্রাম সিংহের উপর ছাত্রদল সন্ত্রাসীদের হামলার তীব্র নিন্দা ও ােভ প্রকাশ করেছে বাসদ সিলেট জেলা। এক বিবৃতিতে জেলা বাসদ সমন্বয়ক কমরেড উজ্জ্বল রায় বলেন, সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহকে হত্যা চেষ্টার দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে তাদের মা নেই। এই আক্রমণ মুক্ত সাংবাদিকতার উপর আক্রমণ।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা ফরিদ আহমদ খান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফয়েজ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা আতাউর রহমান সংগ্রাম সিংহের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করার দাবি জানান। ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা করে দায়ীদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে সিলেটে সত্য সন্ধানী সাহসী সাংবাদিকতাকে নিরাপদ করে তোলার দাবি জানিয়েছেন, সিলেটের প্রথম শ্রেণী সংবাদপত্র এজেন্ট আলমগীর এন্টার প্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী ইসমাইল হোসেন, হকার্স সমিতির সাবেক সভাপতি ও আলমগীর এন্টারপ্রাইজের পরিচালক হাফিজ উলাহ, পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন, আহসান হাবীব, বিশ্বনাথ সংবাদপত্র পরিবেশক জুয়েল রানা, জকিগঞ্জের সংবাদপত্র পরিবেশক মাসুক আহমদ, গোলাপগঞ্জের সংবাদপত্র এজেন্ট করিম আহমদ, জগন্নাথপুরের সংবাদপত্র এজেন্ট রিয়াজ আহমদ, সুনামগঞ্জের সংবাদপত্র এজেন্ট আব্দুল লতিফ, ছাতকের সংবাদপত্র এজেন্ট এমএ হক, দিরাইয়ের বরুন কুমার বর্মন, ছাতকের গোবিন্দগঞ্জের বদর আহমদ, কানাইঘাটের বাবুল আহমদ, গোয়ালাবাজারের শুকুর আলী, বালাগঞ্জের আব্দুস সালাম, মৌলভীবাজারের শংকর রঞ্জন, শ্রীমঙ্গলের অরবিন্দ পাল, ইএনজি ক্যামেরাম্যান এসোসিয়েশন সিলেট এর সভাপতি এস সুটন সিংহ ও সাধারণ সম্পাদক আনিস রহমান, ইকবাল মুন্সি, আলম, বিলকিস আক্তার সুমি, সাঈদ, লিটন চৌধুরী, আলাউদ্দিন হেলাল, ফয়সল আহমদ, মাল্টিপার্পস বিজনেস গ্র“প এর চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম আলম, কোষাধ্য মনি লাল ঘোষ, ভলান্টারি বাড ডোনার্স ফোরাম এর সহসভাপতি সালাউদ্দিন বাবলু।

সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহ



সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহ

দৈনিক যুগান্তরের রিপোর্ট


যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার সংগ্রাম সিংহকে ছাত্রদল ক্যাডাররা অপহরণ করে নিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত সংগ্রাম সিংহকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর চালিবন্দর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর সংগ্রাম সিংহের সহকর্মী সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় সিলেটের সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় চালিবন্দরের বাসা থেকে সংগ্রাম সিংহ জিন্দাবাজারের নেহার ম্যানশনের যুগান্তর কার্যালয়ে আসছিলেন। তিব্বিয়া কলেজের সামনে আসা মাত্র ছাত্রদলের চিন্হতি ক্যাডার ফাহমি, মাসুম, শরীফ ও বাবলু তার গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে সংগ্রাম সিংহকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং বেদম মারধর করে। খবর পেয়ে তার সহকর্মী সাংবাদিকরা চালিবন্দর এলাকায় গিয়ে সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ব্যাপারে যুগান্তরের সিলেট ব্যুরো প্রধান রেজওয়ান আহমদ জানান, সংবাদ সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহের ওপর হামলা করেছে ক্যাডাররা। গত কয়েকদিন ধরে সন্ত্রাসীরা তাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিচ্ছিল। সন্ত্রাসীরা তার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগে থাকা ১০ হাজার ৩শ’ টাকা নিয়ে গেছে। রাত ৯টা পর্যন্ত এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।



ছাত্রদল ক্যাডারদের হামলায় যুগান্তর রিপোর্টার আহত
ভোরের কাগজ | জানুয়ারি ১০, ২০০৯, শনিবার : পৌষ ১৩, ১৪১৫

সিলেট অফিস : দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার ও ইটিভির সিলেট প্রতিনিধি সংগ্রাম সিংহকে ছাত্রদল ক্যাডাররা অপহরন করে নিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত সংগ্রাম সিংহকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায় নগরীর চালিবন্দর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর সংগ্রাম সিংহের সহকর্মী সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় সিলেটের সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গতকাল সন্ধ্যায় চালিবন্দরের বাসা থেকে সংগ্রাম সিংহ জিন্দাবাজারের নেহার ম্যানশনে যুগান্তর কার্যালয়ে আসছিলেন। তিব্বিয়া কলেজের সামনে আসামাত্র ছাত্রদল ক্যাডার ফাহমি, মাসুম, শরীফ ও বাবলু তার গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে সংগ্রাম সিংহকে অপহরন করে তারা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং বেদম মারধর করে। খবর পেয়ে তার সহকর্মী সাংবাদিকরা চালিবন্দর এলাকায় গিয়ে সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে যুগান্তরের সিলেট ব্যুরো প্রধান রেজওয়ান আহমদ জানান, সংবাদ সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহের ওপর হামলা করেছে ক্যাডাররা। সন্ত্রাসীরা তার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগে থাকা ১০ হাজার ৩০০ টাকা নিয়ে গেছে।